নড়াইলের কালিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পুরুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের গৃহবধূ নারগিস বেগমসহ দুই নারীকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, শুধু মারধর নয়, ঘরের আসবাবপত্র ও রান্নাঘরের চুলা ভাংচুর করে এবং মারধরের পর ভুক্তভোগীকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
নারগিস বেগমের স্বামী ও ভুক্তভোগীরা জানান, গ্রাম্য দন্ধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের রসুল শেখের ছেলে সোহেল শেখের (২৬) পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষরা। এ সময় সোহেলের স্ত্রী মীম ও দুই শিশু সন্তানকে মারপিট করে তারা। প্রতিপক্ষের হাত থেকে সোহেলের স্ত্রী মীম ও দুই শিশু সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হন সবুজ মৃধার স্ত্রী নারগিস বেগম (৪৫) এবং সবুজের বোন রেশমা বেগম (৫০)। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনার পর ওইদিন রাত ১২টার দিকে গুরুতর অসুস্থ নারগিসকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হলে পুলিশ পথিমধ্যে বাঁধা দিয়ে স্থানীয় চাঁচুড়ী বাজারে নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তারের চিকিৎসা দেয়। গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসায় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারেন নাই তিনি তার ঘরের মধ্যে অসুস্থ অবস্থায় আছেন, পুলিশের বাঁধায় হাসপাতালে যেতে পারছেন না তিনি।
এদিকে, সবুজ মৃধার বাড়ির আসবাবপত্র ও রান্নাঘরের চুলাও ভাংচুর করা হয়েছে। চাঁদপুর গ্রামের সন্তান গ্রামপুলিশ শিপান শেখের মদদে পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
তবে গ্রাম পুলিশ শিপান শেখ জানান, তিনি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করেন না। শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় সব সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন।
এবিষয়ে, কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, চাঁদপুর গ্রামে এক নারী মারপিটের শিকার হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। পুলিশের উপর অভিযোগ দিয়ে আমাদের বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি আরো গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সম্পাদকঃ মেহেদী হাসান
প্রকাশকঃ জি.এম এনামুল
প্রধান কার্যালয় - ৯৯,কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার,ঢাকা ১২১৫
মোবাইলঃ 01718863323
ই-মেইলঃ info@manobkollan.com