নড়াইলের নড়াগাতি থানার সরকারি রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলে জানা যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই শিক্ষিকা তার মাকে নিয়ে স্কুলে যান বলে জানান। প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলাম বাঐসোনা ইউনিয়নের যোগানিয়া গ্রামের মৃত সাখায়েত হোসেন মিয়ার ছেলে।
সরেজমিনে খোজ নিলে ভূক্তভোগি শিক্ষিকার মা জানান, প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবসহ অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্তক্ত করতো। এমনকি নানা অজুহাতে তার শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতো। প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাতো। মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে সে কাউকে বলতে পারিনি। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমি সঙ্গে আসি।
ভূক্তভোগি শিক্ষিকা জানান, গত ২৭ জুন টিফিনের সময় আমি একা অফিস রুমে থাকায় হেডমাষ্টার আমার সামনে বসে অশ্লিল কথা বলতে থাকে ও আমার হাত ধরে। আমি হাত ছাড়িয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে চলে যাই এবং এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। সে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের নিয়মিত ছাত্রী আবার স্কুলে শিক্ষকতাও করে। যে কারণে স্কুলের পাঠদান ব্যহত হয়। তাকে সুযোগ না দেওয়ায় আমার নামে মিথ্যাচার করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাস বলেন, ঐ শিক্ষিকার একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। এ বিষয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদকঃ মেহেদী হাসান
প্রকাশকঃ জি.এম এনামুল
প্রধান কার্যালয় - ৯৯,কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার,ঢাকা ১২১৫
মোবাইলঃ 01718863323
ই-মেইলঃ info@manobkollan.com