নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামের রিজিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক এর সি,এইচ,সি,পি আফরোজা খানম( মিতা) তিনি ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ কে হাতে পায়ের ঘায়ের ওষুধ চোখের ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সোনাদাহ গ্রামের সালাম মোল্লা জানান, তার চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা ছিলো। আনুমানিক ২ মাস আগে থেকে সালাম মোল্লা ওই ক্লিনিকের সি,এইচ,সি,পি আফরোজার নিকট থেকে চোখের জন্য ক্লোরম ফেনিকন নামের একটা ড্রফ দিতেন।
এরপরে গত আনুমানিক ২৫/২৬ তারিখে আবার ও চোখের ওষুধ আনতে গেলে আফরোজা আমাকে তড়িঘড়ি করে জেনশন ভায়োলেট টপিক্যাল সল্যুশন ২% নামের একটা ড্রফ আমার চোখে দিতে বলে। আমি ওইদিন রাতে ওই ওষুধ আমার চোখে দিলে চোখে জালা পোড়া শুরু হয়। পরদিন সকালে আমি চোখের যন্ত্রনায় লোহাগড়ার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেজানুর রহমানের নিকট চিকিৎসা সেবা নেয় এবং ওই ওষুধ টি তাকে দেখালে তিনি বলেন ওটা হাতে পায়ের ঘায়ের ওষুধ। এর কারণে আপনার চোখের এই অবস্থা।
এবিষয়ে সালাম মোল্লা আরো বলেন, আফরোজার দেওয়া ওষুধ আমার চোখে লাগিয়ে আমার চোখ এখন নষ্টের পথে। আমি এর সঠিক বিচার দাবী করছি।
এবিষয়ে আফরোজার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, আমার সুপারভাইজার মোশারেফ স্যার আমাকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছেন, তবে আমি সালাম মোল্লা কে ওই ওষুধ দেই নাই। মোশারফ স্যার আপনাদের টিএইচও সাহেব এর সাথে কথা বলতে বলেছেন।
এবিষয়ে সুপারভাইজার মোশারফ এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আপনারা টিএইচও স্যারের সাথে কথা বলেন। ওই ক্লিনিকের সভাপতি ও মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফকির নুরুজ্জামান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনাটি আমরা শুনেছি, আর আফরোজার বিরুদ্ধে ক্লিনিকের সদস্য সহ এলাকার বিভিন্ন লোকের অভিযোগ আছে।
এঘটনায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ এসএম মাসুদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না, ঘটনাটি মাত্র আপনাদের নিকট থেকে শুনলাম এবং সুপারভাইজার মোশারফ আমাকে কিছু জানান নাই।
সম্পাদকঃ মেহেদী হাসান
প্রকাশকঃ জি.এম এনামুল
প্রধান কার্যালয় - ৯৯,কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার,ঢাকা ১২১৫
মোবাইলঃ 01718863323
ই-মেইলঃ info@manobkollan.com