কিশোর অপরাধ! এটি বলতে আমরা বুঝি সমাজে প্রচলিত নিয়মকানুন ভঙ্গ করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরদের নিষিদ্ধ কাজকর্ম। নিষিদ্ধ কাজকর্ম বলতে বুঝে থাকি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ইভটিজিং, মাদকাসক্তি, পর্নোগ্রাফি, জোয়া ইত্যাদি। বর্তমান সমাজে এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম “কিশোর অপরাধ”।
শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে এই ত্রাস। যেখানে কিশোররাই আগামীর ভবিষ্যৎ, সেখানে হয়ে উঠছে জাতির হুমকির কারণ। বর্তমানে কিশোর অপরাধ সংগঠনের পিছনে প্রধান কারণ নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। টিকটক, লাইকি সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং অপসংস্কৃতির প্রভাবে কিশোররা হয়ে উঠছে বেপরোয়া। এর রেশ ধরেই বাড়ছে অশ্লীলতা, ইভটিজিং। কিশোরী সহ বিভিন্ন বয়সী নারীরা ও হচ্ছে এর শিকার।
এছাড়াও এর অন্যতম কারণ দারিদ্র্যতা ও বেকারত্ব। অভাবের কবলে পরে অনেক কিশোররা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো নৈরাজ্যজনক কাজে মেতে উঠেছে। নিউজ পেপার বা খবরের চ্যানেলগুলো খুললে আমরা এসব প্রতিনিয়তই দেখতে পাই। যেখানে অন্যান্য দেশের কিশোররা উদ্ভাবনী কাজে আগ্রহী, আর আমাদের দেশে কিশোর গ্যাং কর্তৃক সংগঠিত হত্যাকান্ড ও খুন।
তাছাড়া মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা, আইনের দূর্বল শাসন এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আশ্রয়ে গড়ে তুলা হচ্ছে, কিশোর গ্যাং। প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির তুলনায় কিশোরদের আইন ভঙ্গের শাস্তি কম হওয়ায় একদল অসাধু ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে তাঁদের আশ্রয়ে গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং এবং তাদের দিয়ে সংগঠিত করাচ্ছে মাদক পাচার, খুন, এমনকি মানব পাচারের মতো ভয়াবহ অপরাধ।
যেখানে কিশোররাই হবে মানবতার অগ্রদূত সেখানে হয়ে উঠছে যমদূত। খুব দ্রুত এর কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে না তুললে অদূর ভবিষ্যৎে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হত্যা, ঘুম, ধর্ষণ ভীতি বাড়তেই থাকবে। তখন সোনার বাংলার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গড়ে উঠবে এক নৈরাজ্যমূলক দেশ। দেশকে বাঁচাতে, জাতিকে বাঁচাতে কিশোর অপরাধকে নির্মূল করা জরুরি।
আনিকা শাহ্ সাথী
শিক্ষার্থী, দ্বিতীয় বর্ষ, দর্শন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সম্পাদকঃ মেহেদী হাসান
প্রকাশকঃ জি.এম এনামুল
প্রধান কার্যালয় - ৯৯,কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার,ঢাকা ১২১৫
মোবাইলঃ 01718863323
ই-মেইলঃ info@manobkollan.com