দৈনন্দিন জীবনে ভোজ্যতেল হিসাবে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় সয়াবিন তেল। সয়াবিন তেল ছাড়া একদিন অতিবাহিত করতে হবে এটা চিন্তা করাও বাংলার মায়েদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার। রান্নাঘরে সয়াবিন তেল ছাড়া কোন খাবার চিন্তা করাই যায় না। অথচ এই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য টি আজ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। পূর্বে রমজান মাসকে সামনে রেখে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৬০ টাকা করা হয়েছিল। যেটা ক্রয় করা জনগণের জন্য কষ্টসাধ্য ছিল। সে সময়ও দেশের সচেতন মহল নানাভাবে আন্দোলন করে সরকারকে এ ব্যাপারে অবহিত করে।
এরপর রমজান মাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে খুচরা বাজারে তেলের তীব্র সংকট দেখা দেয়। এদিকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকেই ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী মিল মালিকরা বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য বারবার প্রস্তাব দিতে থাকে। পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সায় পেয়ে লিটারপ্রতি ৪০ টাকা বৃদ্ধি করে তেলের দাম ২০০ টাকা করা হয়। যা বাংলাদেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগণের জন্য অসহনীয় এবং দুঃসাধ্য। এদিকে বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে হাজার হাজার টন সয়াবিন তেল অবৈধভাবে বিক্রেতারা গুদামজাত করে বাজারে একটি কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধির জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ করছে। এভাবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতিতে মেতেছে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সরকারকে বাজারের সকল স্তরে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের মাধ্যমে এই ব্যাপারগুলো কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ কি পরিমাণ মালামাল গুদামজাত করতে পারবে তা সরকারকে নির্ধারণ করে দিতে হবে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পণ্যের দাম নির্ধারণ এবং প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্যতালিকা থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে। এভাবে শুধু সরকার নয় সরকারের পাশাপাশি দেশের সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য।
তাজুল ইসলাম তাসিন
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সদস্য, ফিচার কলাম এন্ড কনটেন্ট রাইটার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদকঃ মেহেদী হাসান
প্রকাশকঃ জি.এম এনামুল
প্রধান কার্যালয় - ৯৯,কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার,ঢাকা ১২১৫
মোবাইলঃ 01718863323
ই-মেইলঃ info@manobkollan.com