পুরোনোকে ফেলে বছর ঘুরে আবার এলো ঐতিহ্যের মহারোহ পূর্ণ শুভ নববর্ষ। বাঙালি এই দিনে পুরনো বছরের ব্যর্থতা নৈরাশ্য, ক্লেদ-গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে মহানন্দে বরণ করে নেয়,সুখ সমৃদ্ধি ও সুখময় জীবন প্রাপ্তির আশায়। সম্রাট আকবরের সিংহাসন এর আরোহন এর সময় ৫ নভেম্বর ১৫৫৬ শুভ নববর্ষ শুরু।
এই ঐতিহ্যের উৎসবটি মঙ্গল-শোভাযাএা, পুণ্যাহ, জব্বারের বলিখেলা, উপজাতিদের বৈসাবি, গম্ভীরা গানের অনুষ্ঠান, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ছায়ানটে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যের সমারোহে উৎযাপন করা হয়।বাঙ্গালিরা ভোর সকালে নতুন জামা গায়ে দিয়ে পরিবারের সাথে নানা রকম ভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত খেয়ে শুরু করে নতুন দিনের সূচনা। ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা সূচনা হয় আর মঙ্গল শোভাযাত্রা মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল শ্রেনীর মানুষ কে একত্র করা।
সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনা বটমূলে গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। ঈসাখাঁ এর আমলের বইমেলার ধারাবাহিকতায় এখনো নানা জায়গায় বইমেলার আয়োজন করা হয়। বটবৃক্ষতলে নববধূ কৃষরিরা আসে তাদের পছন্দের বই সংগ্রহ করতে। চট্টগ্রামের জব্বারের বলিখেলা একটি লোকক্রীড়া এখনো সমারোহে আয়োজন হয়ে আসছে।
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য এলাকায় উপজাতিরা ধর্মীয় উৎসব হিসাবে বৈসাবি আয়োজন করে থাকে। শুভ নববর্ষ অঙ্গীকার হোক মুষ্টিমেয় ধনীর ভোগবিলাসের সর্কীণ উল্লাসে পরিণত নয়, দরিদ্র লাজ্জিত পীড়িত নিষ্ফল বিলাসে যেন পৃথিবী বিষগ্ন না হয়ে ওঠে। পাশবশক্তি যেন শান্তির শুভ শক্তির কাছে পরাভূত হয়।
এনামুল হক বিজয়
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সম্পাদকঃ মেহেদী হাসান
প্রকাশকঃ জি.এম এনামুল
প্রধান কার্যালয় - ৯৯,কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার,ঢাকা ১২১৫
মোবাইলঃ 01718863323
ই-মেইলঃ info@manobkollan.com